আমার করা হ্যান্ড পেইন্ট 👗Painting আমার passion... কাপড় হোক আর ক্যানভাস painting করাই শান্তি....🌸🌿🌸
হ্যান্ড পেইন্টেড প্রতিটা কাজ মাথা খাটিয়ে করতে হয়।,করতে কষ্ট হলেও, কাজ শেষ করার পর মনের মতন হলে খুব ভালো লাগে।😍👩🎨🎨🖌️
এখানে সবাই নিজেদের কাজ ও আইডিয়া শেয়ার করেন।ব্যাপার টা বেশ ভালো লাগে আমার।
আমি ও অনেক কিছু জানতে পারি।
আমি ও এলাম আমার কিছু কাজের ছবি শেয়ার করতে।
এই টিপ্স গুলো ফলো করলে আপ্নি নিজে নিজেই হ্যান্ড পেইন্ট এর কাজ শিখতে পারবেন
অনেকে হ্যান্ডপেইন্টের খুটিনাটি বিষয়ে জানতে চান। আসুন জেনে নেই কিভাবে করবেন______
১. কাপড়ের রং কি ধুলে উঠে যাবে?
উঃ না, রঙগুলো ফেব্রিকে ব্যবহারের জন্যই তৈরি। কাপড় ধুলে ও রং উঠবে না, এমনকি অন্য কাপড়ের সাথে ধুলেও রং উঠে কাপড় নষ্ট হবে না।কাপড় কোয়ালিটি খারাপ হবার কারণে কাপড়ের রং উঠে। হ্যান্ড পেইন্ট এর যে কালার ব্যবহার করা হয় সেটার রং উঠবে না।
২. হ্যান্ড পেইন্ট এর কাপড় কি কোন আলাদা নিয়মে ধুতে হবে?
উঃ না, সেটাও করার দরকার নেই। সুতি কাপড় যেভাবে ডলে মুচরে ব্যবহার করেন ঠিক সেভাবেই হ্যান্ড পেইন্ট এর কাপড় গুলো ব্যবহার করতে পারবেন। প্রতিদিন ব্যবহারের জন্য আরামদায়ক পাশাপাশি ফ্যাশনেবল।
৩. রং বানাতে কি কি মেডিসিন ব্যবহার করতে হয়?
উঃ যে যে মেডিসিন গুলো ব্যবহার করতে হয় ধারাবাহিকভাবে সেগুলো তুলে ধরছি।
হোয়াইট পেস্ট (white paste )– ডিপ কালারের কাপড়ে (কালো ,নেভিব্লু )এইসব কাপড়ে রঙ ফুটিয়ে তুলতে ব্যাবহার করা হয়।
নিউ ট্রেক্স–এটা হালকা কালারের রঙের সাথে মিক্স করলে ওই হালকা কালারের রঙ তুলনামূলক ডিপ বা উজ্জ্বল হয়ে যায় মানে খুব একটা হালকা বা ফ্যাকাসে লাগেনা।
এন/ কে (ণ/ক)–কাপড়ে রঙকে টেকসই করতে এটা ব্যাবহার করতে হয়।
বাইন্ডার (bainder ) –এটা মানে আঠা । কাপড়ে যাতে রংগুলো বসে যায় সে জন্য ব্যাবহার করতে হয়।
এক্রেলিক (acrelic color ) কালার / Row কালার–এটা আসলে বেসিক কালার যেটার সাথে উপরের মেডিসিনগুলো যোগ করে রঙ তৈরি করতে হয়।
এম পি ওয়ান (Mp one )–এটা আপনি যখন হালফ সিল্ক ,মসলিন ,জর্জেট ,ব্যাগ ,জুতা এই সবের উপরে কালার করবেন তখন এটা ব্যাবহার করতে হবে বাকি সুতি কাপড়ে ব্যাবহার করার দরকার নাই।
যারা হ্যান্ড পেইন্ট নিয়ে নতুন করে কাজ শুরু করতে চাচ্ছেন 🖌️🎨🎨👩🎨
Acrylic_Colour বলতে স্থায়ী কালার বুঝায়,
যা মুলত কাপড় এর ফ্রেব্রিস, তাছাড়া এটা দিয়ে কেনভাস,দেয়াল,মাটির পট, বাঁশ, কাঠের গয়নার উপর রং করা যায়,
আসুন জেনে নেই কাপড় এ ব্যবহার এর কিছু নিয়ম।
🌿 হ্যান্ড পেইন্ট করার আগে কাপড়টি wash করে নেয়া উচিত। এতে করে রং ভালো বসে।
🌿পেইন্টিং এর পর ২/৩ দিন নরমাল আবহাওয়াতে শুকাতে দিলে ভালো হয়।
🌿শুকানোর পর ড্রেসের উল্টো পাশ করে আয়রন করে নিবেন।
🌿Acrylic Colour দিয়ে যে কোন কিছুতেই পেইন্টিং এর কাজ করা যাবে।
🌿যারা নতুন পেন্টিং করতে ইচ্ছুক তাদের জন্ন্যে এই রং বেস্ট,
🌿রং এ এক্ট্রা কিছু মিক্স করা লাগে না।
🌿রং পাতলা করতে চাইলে যে পরিমান রং ইউজ করবেন ওটা আলাদা নিয়ে তার দশ ভাগের এক ভাগ বা দুই ভাগ পানি মিক্স করে নিতে পারেন।
🌿পেইন্ট করা শেষ হয়ে গেলে কাপড় টাকে যদি ওয়াস করতে চান তাহলে কমপক্ষে এক সাপ্তাহ পর স্যম্পু দিয়ে ওয়াস করবেন।
🌿 তুলি ভালোভাবে পানি দিয়ে পরিষ্কার করে টিস্যু দিয়ে মুছে নিবেন। এরপর ৩০/৪০ সেকেন্ড গরম পানিতে ভিজিয়ে সাবান মেখে ৩/৪ ঘন্টা রেখে নরমাল পানি দিয়ে ধুয়ে নিবেন।সবসময় রং করার পরে তুলি ভালো ভাবে পরিষ্কার করে রাখবেন।
🌿 ব্যবহারের পরে রং থেকে গেলে, পানি মেশানো রং এর বোতলে রাখা যাবে না।
🌿হাতে রং লাগলে পানি দিয়ে ধুলে উঠে যাবে।
পেইন্ট করার কিছু নিয়ম বলি —
* হ্যান্ড পেইন্টিং করার আগে যে কাপড়ে কাজ করা হবে তার নিচে ওয়েল ক্লোথ/পলি পেপার এবং শক্ত কোন কাগজের বোর্ড, নিউজপেপার ভাজ করে বা পুরনো কাঁথা অথবা ফ্রেম দিয়ে নিতে হবে।
* তারপর নিজের মন মত ডিজাইন অনুযায়ী তুলি নির্ণয় করে তা দিয়ে কাপড়ে এঁকে নিতে হবে। প্রয়োজন হলে আগে পেন্সিল বা কলম দিয়ে ডিজাইন এঁকে নিবেন।
* যেই কাপড়ে রঙ করা হয়েছে তা প্রথমে ফ্যানের বাতাসে আর পরে একদিন রোদে দিলেই হবে।
*রঙ করার ৪৮ঘন্টা পর কাপড় উলটো করে যেখানে যেখানে কাজ করা হয়েছে সেখানে মোটামুটি গরম আয়রন দিয়ে কাপড়টা ভালভাবে আয়রন করে নিতে হবে এতে করে ডিজাইন আর রঙ দুইটাই দীর্ঘস্থায়ী হয়।
* কাপড়ে হ্যান্ড পেইন্ট করার ১ মাস আগে কাপড় না ধোয়াই ভাল। ১ সপ্তাহ পর থেকে খুব আলতো হাতে যত্ন নিয়ে কাপড়টা ধুলে কাপড়ে পেইন্টিং অনেকদিন ভাল থাকবে।
যারা এই ফেব্রিক পেইন্টিং নিয়ে কাজ শুরু করতে চাচ্ছেন কিন্তু কিভাবে কি করবেন বুঝতেছেন না তাদের জন্য আশা করি তথ্য গুলো কাজে দিবে এবং করতে করতে পারফেক্ট হবে ।কোন কিছু শুরু করার আগে অবশ্যই সেটা নমুনা পরীক্ষা করা জরুরি। সে বিষয়ে সম্যক জ্ঞান নিয়ে মাঠে নামা উচিত।
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=2117722918362575&id=100003746610686
![]() |