রান্না ঘরের কাজ সহজ করে দেবে!

 দারুন এই কাজগুলো আপনার রান্না ঘরের কাজ সহজ করে দেবে!




এমন অনেক কৌশল রয়েছে যা আমাদের সময় এবং চেষ্টা কে বাঁচাতে এবং আরো খাবার-দাবার আরো দীর্ঘ সময়ের জন্য রাখতে সহায়তা করতে পারে। আপনাদের জন্য তেমনি কিছু কৌশল নিয়ে হাজির হয়েছি যেগুলো আপনার রান্নাঘরের জীবনকে অনেক সহজ করে দিবে। চলুন কৌশলগুলি জেনে নেই।


- ডিম ফ্রিজে অনেক দিন সংরক্ষণ করতে প্রথমে ডিমের গায়ে সামান্য ভেজিটেবল অয়েল মাখিয়ে নিন তারপর ফ্রিজে রাখুন।


- আপনার পুরো খাবার ওভেনে সামান্য ভাবে গরম করতে এটি প্লেটের চারপাশে এভাবে ছড়িয়ে দিন।


- আপনার কাটিং বোর্ডের পিসলা খাওয়া রোধ করতে বোর্ডের নিচে একটি ভেজা কাপড় বিছিয়ে দিন।


- আপনার যদি ছুরি ধার করার বিশেষ কিছু না থাকে তবে আপনি সাধারণ সিরামিক কাপ ব্যবহার করতে পারেন। কাপটি উল্টো করে রাখুন এবং আপনার ছুরি সামনের দিকে কয়েকবার ঘষুন, উপকার পাবেন।


- সবুজ শাকসবজি পরিষ্কার করুন এবং তা শুকানোর জন্য প্লাস্টিকের ব্যাগের নিচে রাখুন, এটিকে বায়ু দিয়ে পূরণ করুন এবং তা ভালোভাবে বন্ধ করুন। এ পদ্ধতিতে আপনি আপনার সবুজ শাকসবজি সতেজ এবং সবুজ রাখতে পারবেন।


- ছোট এমন কোন পাত্রে মসলা সংরক্ষণ করুন যা ব্যবহারের সহজ এবং সময় কম লাগে।




টমেটো সারাবছর সংরক্ষণের দুটি দারুন উপায়!

বাজারে টমেটোর দাম তুলনামূলক কম। সারাবছর টমেটোর স্বাদ পেতে বেশি করে টমেটো সংরক্ষণ করুন। তবে এর জন্য অবশ্যই জানতে হবে সঠিক পদ্ধতি। কারণ সঠিক পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করতে পারলে তা আর নষ্ট হয় না। আসুন তবে জেনে নেয়া যাক টমেটো সংরক্ষণের সঠিক দুটি পদ্ধতি...

- প্রথমে তা যাওয়া পাকা দেখে টমেটো বেছে নিন। তারপর টমেটো ভালোভাবে ধুয়ে ১থেকে ২ মিনিট সিদ্ধ করে নিন। আগে থেকে টমেটোর গায়ে ২ বা ৩টি ফারা দিয়ে দিলে টমেটোর সিদ্ধ হওয়ার সময় আলগা হয়ে যাবে।

এরপর টমেটোর খোসা গুলো সব তুলে ফেলে দিন। এরপর একটি পরিষ্কার বোতলে বা পাত্রে ভরে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিন। এই পচা টমেটো সারাবছর খাওয়া যাবে। এছাড়া টমেটোর সাইজ বেশি বড় হলে কেটেও রাখা যায়।

- অনেকে টমেটো তরকারিতে ব্লেন্ড করে দিয়ে থাকেন। এতে করে তরকারি খেতে অনেক মজা হয় এবং ঝোল ঘন হয়। যারা টমেটো ব্লেন্ড করে তরকারিতে দিতে পছন্দ করেন তারা টমেটো হালকা সেদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে ব্লেন্ড করে নিন। এরপর একটি পরিষ্কার বোতল বা পাত্রে ভরে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিন। এই পদ্ধতিতেও টমেটো সারাবছর খাওয়া যাবে।


কচুর লতিতে গলা ধরে? এই টিপস জানলে আর গলা ধরবে না


লতি কাটতে গেলেই হাত চুলকায়। আবার খেতে গেলেও ধরে গলা। তাই বলে কি লতি খাওয়া বন্ধ? না বুদ্ধি থাকলে এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া খুবই সহজ। আসুন জেনে নেই...

কচুর লতি কাটা, পরিষ্কার করা ও ধোয়া নিয়ে অনেকেই অনেক রকম পদ্ধতি ফলো করে থাকেন। তবে অনেকেই জানেন কচুর লতি বাজার থেকে আনার সময় এটা ভেজা থাকে। আর এই ভেজা অবস্থায় কাটলে হাত চুলকায়। তবে কচুর লতি টাটকা রান্না করার থেকে ২-১ দিন ফ্রিজে রেখে কাটলে এটি কাটার সময় চুলকাবে না। চাইলে ফ্যানের নিচে রেখে শুকিয়ে নিতে পারেন। শুকিয়ে গেলে তারপর কাটুন।

লতি ধোয়ার সময় দেখা যায় হাত চুলকায়। এতে করণীয় কি? লতি ধোয়ার সময় হাত চুলকানো স্বাভাবিক। তাই ধোয়ার সময় একটি স্ক্রাবার দিয়ে ঘষে ঘষে পরিষ্কার করুন। অথবা একটি জালি পাত্রে নিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তাহলে হাতেও লাগবেনা আর চুলকানোর তো প্রশ্নই আসে না।

লতি পরিস্কার করার সময় স্ক্রাবার দিয়ে পরিষ্কার করুন। তাহলে দ্রুত পরিষ্কার করা যাবে। লতি ধোয়ার পর ভালো করে পানি নিংড়িয়ে নিবেন। তাহলে রান্না করার পর এটিতে গলা ধরার সম্ভাবনা আরও কমে যাবে। আর তাও যদি গলা ধরে তাহলে কচুর মতন এই লতিকেও সামান্য সিদ্ধ করে তারপর রান্না করুন, দেখবেন গলা ধরছেনা।

মাত্র ১ মিনিটে পরিষ্কার করে ফেলুন কচুর লতি

প্রথমে কচুর লতি গুলো ভালো করে ধুয়ে নিন। এরপর একটি বড় গামলায় পানি দিয়ে তাতে কচুর লতি গুলো ১০মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। একটি লতি নিয়ে প্রথমে তার গায়ে থাকা আলগা অংশগুলো টেনে টেনে খুলে ফেলে দিন। এরপর একটি পাতিল পরিষ্কার করার তারের জালি (স্ক্রাবার) নিন।

লতিটিকে চার স্ক্রাবারের মাঝে রেখে স্ক্রাবার দিয়ে টেনে ঘসুন। তাতে করে দেখবেন ছাচা বা কাটা ছাড়াই লতির উপরের অংশ সহজে উঠে আসবে। এভাবে পুরো অংশ পরিষ্কার করা হয়ে গেলে নিচে বাড়তি অংশ কেটে বাদ দিয়ে দিন। দেখবেন কত সহজে পরিষ্কার হয়ে যাবে লতি।

বছর ধরে স্বাদ ও গন্ধ ঠিক রেখে কাঁচা আম সংরক্ষণের উপায় জানুন

মৌসুমী ফল আম। যা কাঁচা এবং পাকা দুই অবস্থাতে খাওয়া যায়। কাঁচা থাকতে আমের স্বাদ টক এবং পেকে গেলে খুবই মিষ্টি হয়। তবে টক স্বাদের কাঁচা আমের নাম শুনলেই জিভে পানি চলে আসে সবার। তাইতো কাঁচা আমের তৈরি আচার, ভর্তা, জুস, ডাল কিংবা তরকারি খেয়ে থাকেন সবাই। তাছাড়াও গরমকালে বাঙালির পছন্দের খাবারের অনেক রেসিপি সাজানো থাকে কাঁচা আম দিয়ে।

তবে বছরজুড়ে এই কাঁচা আম পাওয়া সম্ভব হয় না। তবে আপনি চাইলে কাঁচা আম বছরব্যাপী সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন ‌ এই সংরক্ষণের পদ্ধতি সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যসম্মত এবং সহজ। উপকরণ ও পাওয়া যাবে হাতের নাগালেই। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক স্বাদ ও গন্ধ ঠিক রেখে কাঁচা আম সংরক্ষণের পদ্ধতি-

উপকরণ:

- পরিমান মত পানি

- হাফ টেবিল চামচ চিনি

- হাফ টেবিল চামচ ভিনেগার

প্রস্তুত প্রণালী: প্রথমে কাঁচা আম গুলোকে ভালোভাবে ধুয়ে নিন। তারপর আম থেকে খোসা ছাড়িয়ে আবার ধুয়ে নিন। এবার পছন্দমত আকৃতিতে আমগুলো টুকরো করে নিন। আমের ভেতরের বিচি ও পাতলা সাদা কাগজের মতো অংশটি ফেলে দিন। এরপর অন্য একটি পাত্রে পরিমাণমতো পানি, হাফ টেবিল চামচ চিনি এবং হাফ টেবিল চামচ ভিনেগার একসঙ্গে মিশিয়ে নিন।এই মিশ্রণে এবার আমের টুকরোগুলো আধা ঘন্টার মত ভিজিয়ে রাখুন। ভেজানো হয়ে গেলে আমগুলো থেকে ছাঁকনির মাধ্যমে পানি ঝরিয়ে নিন। এবার টিস্যু দিয়ে আমের টুকরোগুলো আবারো ভালোভাবে মুছে নিন। একটি প্লেটে আমের টুকরো গুলো ছড়িয়ে দিন। যাতে এতে একদম পানি না থাকে।

ঘরে বসেই তৈরি করুন চকোলেট এবং সংরক্ষণ করুন!

চকোলেট প্রেমী যারা আছেন তাদের কে গিফট হিসেবে যদি নিজ হাতে তৈরি করা চকোলেট দেওয়া যায় তাহলে কেমন হয়? খুব একটা খারাপ হয় না কিন্তু, তাহলে দেরি কেন? চলুন শিখে নেই কিভাবে চকোলেট তৈরি করা যায়...

উপকরণঃ

- আইসিং সুগার ১ কাপ,

- বাদাম কুচি ১ কাপ,

- লিকুইড বাটার ২ কাপ,

- কোকো পাউডার ৩ টেবিল চামচ,

- নারকেল তেল বা কোকো অয়েল ১ কাপ,

- গুঁড়া দুধ ৩ টেবিল চামচ।

চকোলেট তৈরি প্রণালীঃ প্রথমে একটি পাতিল বা প্যানে পানি গরম দিয়ে ফুটাতে হবে, পাতিলের মুখ সমান কোন বাটি বা অন্য পাতিল নিয়ে তার ওপর বসিয়ে নারকেল তেল বা কোকো অয়েল দিয়ে উপরের উপকরণগুলো মিক্স করে হালকা তাপে গরম করে অনবরত নেড়ে নেড়ে মিক্স হয়ে গেলে গলে লিকুইড চকোলেট হবে।

সামান্য ঠান্ডা হলে সিলিকন চকোলেট মোল বা সাচের মধ্যে বা উপরে বাদাম কুচি দিয়ে তৈরি করে রাখা চকোলেট ঢেলে ৫/৬ ঘন্টার জন্য ফ্রিজে রেখে জমে গেলে বের করে পরিবেশন করুন।

সংরক্ষণ টিপসঃ অনেক দিন ধরে রেখে খেতে পারবেন কিন্তু ডিপে রেখে খেতে হবে। বাচ্চা থেকে বড় কেউ লোভ সামলাতে পারেনা চকোলেট দেখে। তাই দেরি না করে ঘরেই তৈরি করে ফেলুন মজাদার চকোলেট। খুব সাবধানে সতর্কতা অবলম্বন করে ধৈর্য নিয়ে তৈরি করুন আশা করি দোকানের মতোই পারফেক্ট হবে।