গুয়াশ কী

গুয়াশ
গুয়াশ পদ্ধতিতে আঁকা মণিপুরী নাচ
জলরঙের এক পরিবর্তিত রূপ, যাতে রঙের মধ্যে, চকের গুঁড়ো জাতীয় অস্বচ্ছ জিনিস মেশাবার ফলে জলরঙের সূক্ষ্ম রঙ্গককণিকা-জনিত স্বচ্ছতার পরিবর্তে অনচ্ছ পুরু রং হয়। ফলে জলরঙ দিয়েও তেলরঙের মত "ফিনিশিং" কাজ সহজে হয়। অতীতে চকের গুঁড়োর বদলে ডিমের কুসুম মেশানো হত এবং পদ্ধতিটির নাম ছিল টেম্পেরা(en:tempera), এখন বাজারের তৈরি গুয়াশ যেমন "পোস্টার কালার" তার স্থান নিয়েছে।




গুয়াস পেইন্টিং এর করন কৌশল :


১.গুয়াস সাধারণত কাগজে ( কার্টিজ, হ্যান্ড মেড, আর্ট পেপার, মাউন্ট বোর্ড, সুইডিশ বোর্ড ইত্যাদি) করা হয়ে থাকে। 
২.ওপেক বা অস্বচ্ছ হবার কারণে গাঢ় থেকে হালকা করা যায় আবার হালকা থেকে গাঢ়ও করা যায়। 
৩.আপাত দৃষ্টিতে দেখতে অয়েল পেইন্টিং এর মতনই লাগে। তবে ওয়েলের থেকে অনেকটাই ম্যাট বা অনুজ্জ্বল। 
৪.খুব ডিটেইল কাজ করা সম্ভব এবং বাস্তব ধর্মী কাজে এটি বিশেষ উপযোগী। 
৫. তাড়াতাড়ি শুকায় বলে আউটডোর ও কমার্শিয়াল কাজের জন্য এটি বিশেষ উপযোগী।

জলরঙের সঙ্গে পদ্ধতিগত পার্থক্য

জলরঙের স্বচ্ছতার জন্য গাঢ় রঙকে হাল্কা রঙ দিয়ে ঢাকা সম্ভব নয়- এজন্য সবথেকে হাল্কা রঙ দিয়ে শুরুকরে ক্রমান্বয়ে গাঢ়তর রঙের প্রলেপ দেওয়া হয়।গুয়াশ বা টেম্পেরার অস্বচ্ছতার সুবিধে হল বিভিন্ন রঙ যে কোন ক্রমপর্যায়ে লাগানো যায়।
জলরঙে কাগজের সাদা রঙ একবার ঢেকে ফেললে তা ধুয়ে কিছু হাল্কা করা গেলেও একবার করা ভুল পুরো নিষ্কলুষ করা অসম্ভব। গুয়াশ বা টেম্পেরায় তা সহজেই করা যায়।
জলরঙ শুকালেও ঔজ্জ্বল্য অনেকটাই বজায় থাকে, কিন্তু গুয়াশ শুকালেও ঔজ্জ্বল্য অনেকটাই কমে যায়।
তেলরঙের সঙ্গে তুলনা
তেলরঙের অধিকাংশ পদ্ধতিগত সুবিধা গুয়াশ পদ্ধতিতে আছে। তদুপরি জলরঙের দুই গুণ- তেলরঙের মত শুকাতে দেরি লাগে না এবং সরঞ্জাম (যেমন ক্যানভাসের বদলে কাগজ) দামে সস্তা-গুয়াশ পদ্ধতিতেও আছে। অর্থাৎ জল ও তেল রঙের দ্বয়ী সুবিধা এই পদ্ধতিতে বিদ্যমান।

তেল রং ও অ্যাক্রিলিক এর সাথে পার্থক্য কি? 

#তেলরং তৈরি হয় রঞ্জক, তেল ও বাইন্ডার দিয়ে। আর ব্যাবহারের মাধ্যমও তেল। তাই তেল ও জলের পার্থক্য হবে সেটাই স্বাভাবিক। 

#অ্যাক্রিলিক এর প্রধান কাচামাল প্লাস্টিক। এটি একবার শুকালে আর উঠে না। কিন্তু গুয়াস শুকিয়ে গেলেও জল দিয়ে উঠানো সম্ভব।